শিপ্ত বড়ুয়া
পাহাড়গুলো যেনো দাম্বিকতার সাথে চোখে চোখ রাখছে, প্রতিনিয়ত আমাকে কাছে টেনে নিতে চাচ্ছে পাহাড়ের সুগভীর খাদগুলো। কক্সবাজার থেকে পুরাতন কালুরঘাট ব্রিজ হয়ে বোয়ালখালী হয়ে রাঙামাটি পৌঁছানোর দুর্দম পথ। প্রায় ২০০-২৫০ কিলো. রাস্তায় হাইপারটেনশনে থাকতে ইচ্ছে হলে ঘুরে আসতে পারেন রাঙামাটি।
রাঙামাটি ভ্রমণের পথে মনে হয় যেনো ইহকাল স্বাধীন করতে যাচ্ছি, ঈশ্বর নামে বড়বাবুর কথা খুব মনে পড়ে যাবে রাঙামাটি ভ্রমণের পথে। যে সুউচ্চ পাহাড় আর সুগভীর খাদ, এগুলো দেখে আপনার মনে হতে পারে এক্ষুণি মারা যাচ্ছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই।
যারা খুব বেশি এডভেঞ্চার নিতে চান তারা বড় বাসে করে রাঙামাটি ভ্রমণের স্বাদ নিতে পারেন। বাসের ড্রাইবারের পেছনের বাম পাশের প্রথম সিট আপনার জন্য পারফেক্ট সুউচ্চ পাহাড় আর খাদে পড়ার সাহস দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য।
হ্যা!! অবশ্যই বাম পাশের সিট আপনার বসে যাওয়ার স্থান হিসেবে নির্বাচন করবেন। যেতে যেতে গুগল ম্যাপিং করতে পারেন, ম্যাপিং আপনার যাত্রা নিরাপদ করবে যদি একা যান। অবিশ্বাস্য আর দমবন্ধ রাস্তা পার হতে হতে আপনি প্রথমে রাঙামাটি পুরাতন বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে থামতে পারেন এবং খুবই স্বল্প খরচে রাস্তার বাম পাশে প্রিন্স হোটেলে রাত কাটাতে পারেন।
অবশ্য রাঙামাটি দু-একদিনে দেখে শেষ করা অথবা অবিরাম প্রকৃতির সাথে মিশে যাওয়া অসম্ভব। প্রিন্স হোটেল দেখে আপনি হতবাক হতেও পারেন কারণ মুখোমুখি স্ট্যাচুর মতো ডান-বাম হয়েই রাস্তার পাশে দুটি হোটেল, রাস্তার বাম পাশের হোটেলটি বেশ ভালো।
আগে থেকেই হোটেল বুকিং দিতে বা তাদের সাথে কথা বলতে এই সেল নাম্বারটি সংগ্রহে রাখতে পারেন ( হোটেল প্রিন্স: ০১৭৭৫১৯৬৬৬৪)। বাম পাশের প্রিন্সে গেলেই আপনাকে অভ্যর্থনা জানাবে দুজন মারমা ছেলে এবং একদম দামাদামি ব্যতিহার রুম দিয়ে দিবে। রাঙামাটি প্রকৃতির নৈসর্গিক আবহ।
বিশাল বিশাল পাহাড় আর হ্রদ দেখতে হলে আপনাকে অবশ্যই রাঙামাটি যেতে হবে। আপনার হোটেল বুকিং হয়ে গেলেই আপনি নিশ্চিন্তে বেরিয়ে পড়তে পারেন অসম্ভবকে সম্ভব করার প্রত্যয়ে। মূলত যেখান থেকেই যান না কেনো, রাঙামাটি পৌঁছাতে পৌঁছাতে বৈকালিক সূর্য মাথার উপর হানা দিয়ে বসে।
সুতরাং, রাঙামাটি গিয়ে প্রথম দিন আপনার হোটেলে বসে কাটানো অথাবা আশেপাশের কাঁচা সবজির বাজার দেখে কাটানো শ্রেয়। আশেপাশে অসংখ্য দেশীয় ফলমূলের বাজার আছে যা আপনার নজর কাটবে। বিশেষত বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ফলমূল সেখানকার বাজারগুলোয় পাওয়া যায়। তারমধ্যে আনারস, পেঁপে, বেল, ডাব, আঁখ, কলা ইত্যাদি।
রাঙামাটি এসছেন আর রাঙামাটির বাংলা মদ খাবেন না; এ তো পোলাও রান্নার আয়োজন করে ডাল ভাত খাওয়া। সুতরাং প্রথম দিনই দু-চার প্যাক মদ গলায় ঢালবেন। প্রথম দিন গিয়ে আপনি হোটেলের তুলতুলে নরম বিছানাগুলোতে দেহ বিলোতেই অলসতা আপনাকে ঘিরে ধরবে সুতরাং প্রথম দিনটা এভাবেই কাটাবেন।
হোটেলে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখবেন, আপনার রুম নাম্বার কতো ! ভুলেও আমার মতো রুম নং-২১৮ ভেবে রুম নং-১১৮ তে গিয়ে কলিং বেলের সুইচে চাপ দেবেন না তাহলে কিন্তু অনেক বড় বিপদে পড়ে যেতেও পারেন। হোটেলের সকল ফ্লোর একই ডিজাইনের হওয়ার কারণে অনেকে এটা ভুল করে থাকেন সচরাচর।
যেসব জায়গাগুলো আপনাকে বেশিদিন বাঁচার প্রেরণা যোগাবে!!
রাজবন বিহার
রাঙামাটি বিশাল বড় স্বর্গ। যেখানে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দিলে কোথায় যাবেন তা নিয়ে ভাবতে পানির বোতল নিয়ে বসতে হবে। প্রথমে রাজবন বিহারের স্বর্গে যেতে পারেন। নৌ-রুট যখন আপনার একমাত্র যাত্রাপথ সেহেতু আপনার প্রথম গন্তব্যস্থল রাজবন বিহারের ইট-পাথুরে নির্মিত স্বর্গ।
এই ইহকালে স্বর্গ দেখার স্বাদ সেখানেই আপনি পাবেন। প্রথমে রাঙামাটি তিন রাস্তার মোড় থেকে একটু ডানে মসজিদের নিচের স্পিড বোট কিংবা দু-তলা বোটে করেই আপনার যাত্রা শুরু হবে। যদি আপনারা ষাটের অধিক একসাথে ঘুরতে যান সেক্ষেত্রে এই মোবাইল নাম্বারটি ডায়াল করে আগে থেকেই বোট রিজার্ব করতে পারেন ( মাঝি আবু তাহের: ০১৮৮১৬১৯৫৫৭)।
এই মাঝি কিন্তু বেশ রসিক। আপনাকে যেতে যেতে অনেক স্বাদ আগেই দিয়ে দিবে। হ্যা! প্রথম যাত্রা হবে রাজবন বিহারে। মাত্র ১০ মিনিটের নৌ-রুট। নৌকা থেকে ডিঙায় পা ফেলার সাথে সাথেই শুনতে পাবেন কোকিলের মধুর কণ্ঠ।
আর একটু এগিয়ে গেলেই আপনার চারপাশ দিয়ে আপনাকে মুখ ভাঙাবে শত শত বানর, যা আমাদের আগের প্রজন্ম বলেন বিজ্ঞানিরা। তাদের সাথে সেলপি অথবা কুলপি তুলে শান্ত হতে পারেন কিছুক্ষণের জন্য। কেনো জানি বন্ধুদের সাথে রাঙামাটি গিয়ে মনে হয়েছে আমারা সেখানে শুধুমাত্র ছবি তোলার জন্যই গিয়েছি, প্রকৃতির সাথে আলিঙ্গন আমাদের মূল উদ্দেশ্য নয়।
রাজবন বিহারে গিয়ে যদি ছবি কম তুলে বানর মামাদের সাথে একটু সময় কাটান মনেই হতে পারে ওখানে কেউ কেউ আপনার পূর্ব পুরুষ অথবা আপনি খুব সুখী মানুষ। একমুহুর্তের জন্য আপনি ভুলে যাবেন আপনি এখানে বেড়াতে এসছেন। একটু দেখতে না দেখতেই নৌকার মাঝি আপনাকে বোটে উঠে আসার জন্য ডাকাডাকি করবে এবং আপনার পূর্ব পুরুষদের সাথে মনের মিলের ব্যাঘাত ঘঠাবে।
তারপরেও কিছুক্ষণ সময় নিয়ে মন্দিরের গৌতম বুদ্ধের সাথেও একটু সাক্ষাত করতে পারেন, মনের নানান প্রশ্নের তর্কে জড়িয়ে যেতে পারেন গৌতমের সাথে। বেশিক্ষণ দাড়িয়ে থাকলে বিরক্ত মনে হবে কারণ গৌতম সবসময় হাসেন শুধু।
রাজবাড়ি
রাজবন বিহারের পাশেই রাজবাড়ি। এখনো রাঙামাটি বা বিভিন্ন পার্বত্য অঞলে রাজা প্রথা প্রচলিত। যদিওবা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে এই প্রথা এবং এর কারণ হিসেবে আমাদের দেশের অসুস্থ রাজনীতি এবং পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন না করা।
রাজবাড়ি গেলেই আপনি দেখতে পাবেন মানুষ কতটা প্রকৃতি নির্ভর সৌখিন মানুষ ছিলো। রাজবাড়িতে আগকার দিনে অনেক নিদর্শন রয়েছে যা দুর্লভ। এগুলো দেখতে হলে আপনাকে অবশ্যই রাজবাড়ি যেতে হবে।
ঝূলন্ত ব্রিজ
রাজবাড়ি থেকে নৌকায় উঠে গেলেই নৌকার ইন্জিনের গড় গড় শব্দে আবারো যাত্রা শুরু করবে মাঝি ভাই। এবার রাজবাড়ি থেকে যাত্রা ঝুলন্ত ব্রিজ। নাম যতটা ঝুলন্ত, ব্রিজটি কিন্তু মোটেও ঝুলন্ত নয়। ছয়টি ইয়া বড় খুঁটির উপর ভর দিয়ে সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে ব্রিজটি।
রাজবাড়ি থেকে যাওয়ার পথে রবিশংকর মৈত্রী কিংবা শতাব্দী রায়ের কবিতা শূনতে শুনতে যেতে পারেন। কানে হেডফোন গুজে দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা শুনতে শুনতে গেলে আপনার ভাবনার জগৎ অনেক বড় বড় চিন্তাবিদদের হার মানাবে। মনে হবে রবীন্দ্রনাথ আপনার পাশে বসেই আপনাকে কবিতা পড়ে শুনাচ্ছে। নৌকার ইন্জিনের গড় গড় শব্দটি অনেক বেশি দরকার এই রকম একটি নৌকার যাত্রায়।
যদি আপনার পছন্দের কোন নারী আপনার একই নৌকায় থাকে তাহলে তো আর কথায় নেই, নৌকায় ঠিক মাথায় বসে তার সাথে চোখ মেলানো অখবা চোখের মিলন ভ্রমণ আনন্দ আকাশ চুম্ভি করে তুলবে। ভ্রমণ যখন দিনেই করবেন, রুদ্রের ঝিকিমিকি লাভা আপনাকে প্রতি মুহুর্তে বরণ করবে, তখন সবচেয়ে ভালো হয় যদি একটা জলগামছা এবং একটি দামী সানগ্লাস সাথে নিয়ে যান।
প্রায় ঘন্টাখানেক নৌকা চলার পর পাহাড়ের ভেতর থেকে একটু একটু করে উকি দিয়ে আপনাকে ডাকবে ঝুলন্ত ব্রিজ। কাছে যেতে যেতেই দূরে থাকার স্বাদ হারিয়ে ফেলবেন আপনি। নামা মাত্রই চো যাবে বিজ্রের নিচে বাম পাশের আনারসের একটা ফালির উপরে। দুই থেকে তিনজন তরুণ ধারালো ছোরা নিয়ে বসে বসে বিক্রি করছে আনারস।
খুব কম দামে সেখানেই টুকরো টুকরো করে কেটে ফুল বানিয়ে ভুল করেই দিয়ে দিচ্ছে যে কারো হতে। দু-তিনটা আনারস খেয়েই উঠে যাবেন ব্রিজে এবং ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচার অথবা কভার ফটো দেওয়ার মগ্নে ডি.এস.এল.আর ওয়ালা বন্ধুর সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হবেন শ-খানেক ছবি তুলে না দেওয়ার অপরাধে। এভাবেই হয়তো শেষ হবে না আপনার রাঙামাটি ভ্রমণ।
নির্মাণ নগর, ঝুম পাহাড়, টুকটুকি প্লাস রেষ্টুরেন্ট
ঝুলন্ত ব্রিজ থেকে আবারো নৌকায় উঠে আপনাকে এগুতো হবে নির্মাণ নগর বৌদ্ধ মন্দিরের উদ্দেশ্যে। নির্মাণ নগর বৌদ্ধ মন্দির অন্যবদ্য এক জায়গা। শেষ সময়ে এসে আপনার জ্ঞানের খোরাক আরো দশ গুণ বৃদ্ধি করতে নির্মাণ নগর যাওয়া খুবই জরুরী।
ঝুলন্ত ব্রিজ থেকে নির্মাণ নগর যাওয়ার পথেই আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন এবং যেহেতু সময় দুপুরেই গড়াবে সেহেতু দুপুরের ক্ষুধা আপনার পেটে হানা দেবে। ঝুলন্ত ব্রিজ থেকে একটু এগিয়ে গিয়েই সুউচ্ছ পাহাড়ের উপর থেকে আপনার দিকে তাক করে দাড়িয়ে থাকতে দেখবেন একটি গোল লতা-পাতা ছড়ানো গাছ।
আপনকে যেনো হাজার বছর ধরে সে গাছ চিনে এবং কাছে ডাকছে আপনার মনে হবে। আসলে সেখানেই অসাধারণ পাহাড়ি রেষ্টুরেন্ট। এই পাহাড়ের নাম অনুসারেই রেষ্টুরেন্টের নাম রাখা হয়েছে ঝুম রেষ্টুরেন্ট।
এই রেষ্টুরেন্টে আপনি বাহারি রকমের খাবার এবং নির্ভেজাল খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন। যাত্রাপথে বিরতি নিয়েই এই রেষ্টুরেন্টে আপনি আপনার বৈকালিক ভোজন করে নিতে পারেন। এবং ঝুম পাহড়ের একটু আগেই চোখে পড়বে টুকটুকি প্লাস রেষ্টুরেন্ট।
এই দুই রেষ্টুরেন্টে যাওয়ার সময় হয়তো আপনার নাও থাকতে পারে সুতরাং যেকোন একটি রেষ্টুরেন্টকে আপনি আপনার ভোজন শালা বানিয়ে ফেলতে পারেন। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবারো রওনা হবেন নির্মান নগরের অভিমুখে। একটা কথা প্রথম থেকেই বলা হয়নি !
যাওয়ার পথে অবশ্যই পাহাড়ের উলঙ্গ শরীর উপভোগ করতে ভুলবেন না। লাল পাহাড় বাংলাদেশের রাঙামাটিতেই খুব বেশি চোখ পড়ে।
ঘন্টা-দেড় এক এর মধ্যেই আপনি পৌঁছে যাবেন নির্মাণ নগর। অনেকের মাথা নিচু থাকার কারণে নির্মাণ নগর পাহাড়ে দন্ডায়মান ১৪.৬” ফুটের বুদ্ধ মুর্তি চোখে না পড়তেও পারে। নির্মাণ নগরের প্রধান আকর্ষণ এই বুদ্ধ মুর্তি। যখনই বুদ্ধ মুর্তির দিকে চোখ যাবে ইচ্ছ হবে বুদ্ধের খুব কাছে গিয়েই আকাশটা ছুঁই।
পাহাড়ে উটার আগে কয়েকটা দোখান দেখবেন ওখানে যেগুলো রাখাইন, মারমা, চাকমা সম্প্রদায়ের লোকজন করে থাকে। সেখানে পাওয়া যাবে দেশীয় ফলমূল থেকে শুরু করে নানান রকমের নতুন জিনিষ। যদি আপনার কপাল থাকে তাহলে ওক্কা ( দেশীয় হাতে তৈরি তামাক যন্ত্র্র ) বুড়ার সাথে আপনার দেখা হয়ে যেতে পারে এবং ফ্রিতে দু-একটা টান দিতে পারেন যদি সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস থাকে।
তবে এতা সহজ কাজ নয় ওক্কা খাওয়া। বুকে আগে নিশ্বাস ভরে নিয়েই টান দিতে হয়। দু-একটা টান দিয়েং পারলেই আপনার রাঙামটি ভ্রমণ ষোল কলায় পূর্ণ মনে হবে। গুড় গুড় শব্দে এক ফালি ধোঁয়া বের হয়ে আসে ওক্কা থেকে।
এটা শেষ করেই দেরী না করে উঠে যাবেন পাহাড়ে এবং বুদ্ধের নিচে দাঁড়িয়ে বুক ভরে নিশ্বাস নিয়ে ছাড়বেন চোখ বন্ধ করে এবং একবারের জন্য রাঙামাটির সব পাহাড়গুলো দেখে নিবেন তাহলেই আপনার নির্মাণ নগর ভ্রমণের শেষ সময়ের আস্বাদন পেয়ে যাবেন।
মিদিংগাছড়ি ঝর্ণা
আপনার রাঙামাটির লাল পাহাড় আর হ্রদ দেখা প্রায় শেষ। এখন আপনার উদারতার শিক্ষা নিয়ে বিদায় নেওয়ার সময় এসছে। কখনো কবিতা না লিখে থাকলে আজকে মিদিংগাছড়ি ঝর্ণার সামনে দাড়িয়ে একবার চেষ্টা করুন।
পাহড়ের গা বেয়ে নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গের মতো পাহাড়ের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যাচেছ । পাহাড়ের সকল কান্না নির্ঝরে ঝড়ছে। এভাবেই কবিতা লিখতে লিখতে আর পাহাড়ের কষ্ট সহ্য করা দেখে আপাদ মস্তক আপনার সংক্ষিপ্ত রাঙামাটি দেখা শেষ হবে।