কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলায় অবস্থিত সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত বেসরকারি গণগ্রন্থাগার জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার পরিদর্শনে এসেছেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক(উপসচিব) মোছা: মরিয়ম বেগম ও কক্সবাজার জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান ঋষিকেশ পাল।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় রামু উপজেলার পূর্ব রাজারকুলে অবস্থিত জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার পরিদর্শন করেন এই কর্মকর্তারা। জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার পুনঃনির্মাণের কাজ পরিদর্শন করে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক(উপসচিব) মোছা: মরিয়ম বেগম বলেন, জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগারের কাজকর্ম আগেই দেখেছি। বড় জায়গায় দুইতলা বিশিষ্ট একটি বেসরকারি পাঠাগার সত্যিই প্রশংসনীয়। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
পরিদর্শনকালে জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগারের সাধারণ সদস্য, পাঠক সদস্য ও কার্যকরী পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পাঠাগার পুনঃনির্মাণের কাজ পরিদর্শন শেষে জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগারের অস্থায়ী কার্যালয়ে যান এই দুই কর্মকর্তা। সেখানে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার পরিদর্শন করেন তারা। এসময় পাঠাগারের কার্যকরী পরিষদের সদস্যদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
এদিকে জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগারের সভাপতি আব্দুল মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমাদের জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার এখন কেবল পাঠাগারে সীমাবদ্ধ নেই। নতুন যে দুইতলাবিশিষ্ট পাঠাগার ভবন সেটা প্রায় ১০০০ বর্গফুটের। নিচ তলায় রিডিং স্পেস, দুতলায় হাইটেক পার্ক ও ছাদে সিনেমা প্রদর্শনীর চিন্তা আছে। এই পাঠাগার পুনঃনির্মাণের কাজ শেষে কার্যক্রম শুরু হলে রামুতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রামে এতো বড় পরিসরে এখনো কোন বেসরকারি পাঠাগার নেই বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
পরিদর্শন ও মতবিনিময় শেষে বিকেল ১২ টায় তিনি কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন।