প্রেস বিজ্ঞপ্তি
পুরানো যেকোন বই দিলেই মিলছে নতুন বই। গল্প, শিশুতোষ, কবিতা, উপন্যাসসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির বই নিয়ে রামু কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এমন এক স্টল সাজিয়েছে রামু’র জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার। চাইলে যেকেউ কিনে নিতেও পারছেন বই। অমর একুশে ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার প্রতি সম্মান জানিয়ে ভিন্নধর্মী এমন আয়োজন করেছে জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার।
রামু উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে উপজেলা চত্বরে বসে বইয়ের এই স্টল। ৭টা থেকে শুরু করে বেলা ১টায় শেষ হয় এই মেলা। উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রভাতফেরি নিয়ে আসা হাজারধিক স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এসময় বই বিনিময়ে মেতে উঠতে দেখা গেছে।
পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্টান, কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্টানের আয়োজনও করা হয়। জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার’র সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, মূলত বই বিনিময় আমাদের মূল লক্ষ্য। বই বিনিময়ের পদ্ধতিটা চালু করা গেলে একজন পাঠক সহজে নানান বই, বই দিয়েই নিতে পারবে। এতে করে পাঠকদের মধ্যে এক আন্ত যোগাযোগ তৈরি হবে।
ভ্রাম্যমাণ বইমেলার এই স্টলে দ্যু প্রকাশনের শিশু-কিশোর সিরিজের নানান বই দেখা যায়। অঅন্যান্য বইয়ের চেয়ে শিশুতোষ ও কিশোরদের বইয়ের সংগ্রহ ছিলো চোখে পড়ার মতো। এদিকে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা বলেন, একুশ আমাদের অহংকার। রামুতে ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে বইমেলার আয়োজন করা হবে। জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগারের আজকের এই ভ্রাম্যমাণ বইমেলা একুশের সকালকে আরও রাঙিয়ে তুলেছে।
ভ্রাম্যমাণ বইমেলার আয়োজকেরা বলছেন, সারা বছরব্যাপী কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ও স্কুল-কলেজগুলোতে চলবে ভ্রাম্যমাণ এই বইমেলা। এতে করে যেকেউ পুরানো বই দিয়ে অথবা কিনে নিতে পারবে বই।